গত ২৯শে মে অভিনেতা শরিফুল রাজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে তিন অভিনেত্রীর ব্যক্তিগত মুহূর্তের ছবি ও ভিডিও ফাঁস হওয়ার পর আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে চলে আসে রাজ ও তার স্ত্রী পরীমণির সম্পর্ক এখন কোন পর্যায়ে। ছবি ও ভিডিও ফাঁস হওয়ার পর পরীমণি গণমাধ্যমকে বলেন, ঘটনার দশদিন আগে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন রাজ। এরপর থেকে সে বাসায়ও ফেরেনি, এমনকি তার ফোনও ধরে না।
এই ঘটনায় পর থেকে সংবাদমাধ্যমে রাজ-পরী দু’জনের পক্ষ থেকেই এসেছে নানা বক্তব্য। যেখানে অনেকটাই স্পষ্ট এই তারকা দম্পতির সম্পর্কে বড়সড় ফাটল ধরেছে। সবশেষ রোববার (৪ জুন) এক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ হওয়া পরীমণির বক্তব্যে তা আরও পরিষ্কার।
জানা যায়, শুধু এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই নয়, এর সূত্রপাত ‘দামাল’ সিনেমা মুক্তির সময় মিমের সঙ্গে রাজের সম্পর্ক জড়িয়ে পরীমণির দেয়া ফেসবুক স্ট্যাটাস ঘিরে। মূলত তখন থেকেই দুজনের সম্পর্কটা স্বাভাবিক যাচ্ছিল না।
বিষয়টি সংবাদমাধ্যমের কাছে স্বীকারও করেছেন পরীমণি। তিনি বলেন, `দামাল’ সিনেমার মুক্তির সময় থেকেই আমাদের সম্পর্ক স্বাভাবিক যাচ্ছিল না। রাজ আগের মতো নিয়মিত বাসায় থাকত না। সন্তানের প্রতিও তার সে ধরনের দায়িত্ব চোখে পড়েনি।
কিন্তু সেই ঘটনার পরও আপনাদের দু’জনকে বিভিন্ন ইভেন্টে ঘনিষ্ঠভাবে একসঙ্গে দেখা গেছে। বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে পরীমনির বলেন, ‘এগুলো ছিল রাজের লোকদেখানো। আমার কোনো অনুষ্ঠান থাকলে সঙ্গে সে যেত। বিশ্বাস করেন, কিছুদিন আগে আমি হাসপাতালে ছিলাম, আমাকে দেখতেও যায়নি সে। আমার সঙ্গে তার এখন শারীরিক, মানসিক কোনো অ্যাটাচমেন্টই নাই। আমি যখন হাসপাতালে, তখনই বাসায় রাজ তার জিনিসপত্র গুছিয়ে রেখেছিল। আগেই প্রস্তুত ছিল বাসা থেকে বেরিয়ে যাবে। সম্পর্ক রাখবে না। এভাবে তো আর সংসার, সম্পর্ক টিকিয়ে রাখা সম্ভব নয়।’
তাহলে কি বিচ্ছেদের দিকে যাচ্ছে আপনাদের সংসার?-এমন প্রশ্নে ঢাকাই সিনেমার এই অভিনেত্রী বলেন, ‘ও তো আমাকে ছেড়েই চলে গেছে, বিচ্ছেদ তো হয়েই গেছে। আমি আর কল্পনাতেও ভাবতে চাই না শরীফুল রাজ আমার জামাই। একটা মানুষ চলে গেলে তো আর ধরে রাখা যায় না।’
পরী আরও বলেন, ‘রাজ এখন বলে কী, আমাদের বিয়ের কাবিননামা নাকি ভুল। আমাদের নাকি ঠিকঠিক বিয়েই হয়নি। যে এভাবে বলতে পারে, সে ভয়ংকর মানুষ। তার সঙ্গে থাকা যাবে না। আমি চাই সে আমাকে তালাক দিয়ে দিক। আমি ওর প্রাক্তন, এটাই শুনতে আমার আরাম লাগবে। আমি রাজের বউ, এটি আর শুনতে চাই না।’